ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে চিহ্নিত জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে সেফহোমে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই খবরে স্বস্তি ফিরেছে উপকূলে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর রাতে পেকুয়ার সরওয়ার বাহিনীর প্রধান সরওয়ার এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড গিয়াস উদ্দিনকে অস্ত্রসহ তাদের আস্তানা থেকে বের করে আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে সেফহোমে নেওয়া হয়েছে।

সাগর পথের দস্যুদের আলোর পথে ফেরাতে কাজ করছেন দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন নিউজ-২৪ এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজারের পেকুয়ার কৃতি সন্তান এম এম আকরাম হোসাইন।

তিনি জানান, পেকুয়ার সরওয়ার বাহিনীর প্রধান সরওয়ার এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড গিয়াস উদ্দিন এখন সেফহোমে। শুক্রবার ভোর রাতে তারা আস্তানা থেকে বের হয়ে পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এরপর তাদের হেফাজতে থাকা অবৈধ অস্ত্রসহ সেফহোমে চলে যান।

তাদের দুইজনেরই অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতাসহ ১০ টির অধিক মামলা আছে বলে জানা যায়।

এম এম আকরাম হোসাইন সিবিএনকে জানান, বেশ কিছুদিন আগে থেকে জলদস্যুদের সেফহোমে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
প্রায় শেষের পথে আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া। এটিই হবে শেষ আত্মসমর্পণ। এরপর আর আত্মসমর্পণের সুযোগ থাকবে না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুত্রে জানা গেছে, চলমান আত্মসমর্পণের সহায়তা করছে র‍্যাব হেডকোয়ার্টার। এই প্রক্রিয়ায় আত্মসমর্পণ না করলে সন্ত্রাসী, দস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে সরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে মহেশখালীতে র‍্যাবের হাতে ৩৬ জন, ২০১৯ সালে পুলিশের হাতে ৯৬ জন এবং ২০২০ সালে ৩৪ জন জলদস্যু র‍্যাবের হাতে আত্মসমর্পণ করে। যার পুরোটাই মধ্যস্ততা করেন এম এম আকরাম হোসাইন।